top of page
Writer's pictureSadhguru

রহস্যময় শ্রীশৈলম - পর্ব ৫

Aবং হলো ১৯৮০ সাল থেকে তার সাধনার জীবনের নানা কাহিনীকে তুলে ধরা। পূর্ব জীবনকে জানার জন্য অবধূত নানা কাজের সূত্রেও সেই সব জায়গায় ঘুরে বেড়ালেন সঙ্গে মিলিয়ে নিলেন নিজের জীবনের ছন্দকে।  অবধূতের জীবনের নানা ঘটনাকে তুলে ধরা হবে এই Aবং বিভাগে। তাঁর শ্রীশৈলম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এখানে দেওয়া হলো পর্বে পর্বে। আজকে পঞ্চম পর্ব। 



তন্ত্র ও যোগসাধনায় প্রকৃত পথে যাঁরা অনেকদিন আছে তাদের কাছে ভাষা কোনো সমস্যা নয়। আসলে তন্ত্রই সব থেকে বড় যোগ। সেখানেই যুক্ত হাওয়া যায় উনিভার্সের সাথে। তারা চাইলে সমস্ত ভাষাতেই কথা বলতে পারে। এমন কি শুধু মানুষ নয় পশু পাখি গাছ পালা কীট পতঙ্গ সবার সাথে। একথা তোমার গুরু অবধূতের কাছে জেনেও ভুলে গেলে। যখন গুরু বলেছেন, দেখেছো, অভিজ্ঞতা করেছো মনে রাখতে  পারোনি। তাই তোমার লজিক মাইন্ড সবসময় পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সীমায় যা গ্রাহ্য তার মধ্যে ঘোরা ফেরা করে। তার বাইরে কিছু হতে পারে বিশ্বাস করতে পারোনা। শোনো, তোমার গুরু যেহেতু বলেছেন তাই হয়তো পরিচিত মানুষ কে বলো উনি এটা বলেন বা বলেছেন কিন্তু সেই conviction তোমার আসে নি। তাই এগুলো ভুলে যাও, সেকারণে তোমায় এই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা করানো। এই সমগ্র ব্রহ্মান্ড তোমাদের ইন্টারনেটের মতো। তুমি চাইলে সব কিছু access করতে পারবে। যাকে তোমরা সার্ভার বলো। সাধক হলো client computer. সে সার্ভার থেকে access নিচ্ছে। তোমাদের এখনকার ভাষায় বললাম। যাতে বুঝতে সুবিধা হয়। আমিও সেই একই ভাবে তোমার সাথে কথা বলার জন্য তোমার ভাষা ডাউনলোড করে নিয়েছি। এখানে একটা ব্যাপার বলি, এই universal cloud এ অনেক কিছু থাকে। সাধক তা মাঝে মাঝে পায় আর ভাবে এটাই আমার জন্য। তা কিন্তু নয়। ভুলটা এখানেই করে। তাই গুরুর প্রয়োজন। ত্রিকাল দর্শন আর এই ক্লাউড থেকে কিছু পাওয়া এক নয়। তাই গুরু ভিন্ন কেউ কিছু করতে পারে না।  বহু জায়গায় তোমার আত্মা তোমায় এমন কিছু গাইড করলো তুমি ভাবলে ওটাই ঠিক পরে করতে গিয়ে দেখলে হয় না। তোমাকে বোঝালো তুমিই মহান পরে দেখলে তুমি মহানও নয় আবার হনুমানও নয়। 


তোমাদের বঙ্গ দেশে আমি বেশ কিছুদিন কাটিয়েছি সাধন কাজে তবুও ওটা আমার মাতৃভাষা নয়। আমি দেখলাম তোমার গুরু পশু পাখিদের সাথে কথা বলতে পারেন। গুরু নির্দেশিত সাধন পথে সাধনা করো একদিন তুমিও এভাবে download করতে সক্ষম হবে।

 

ইংরেজিতে যাকে Jaw dropping বলে আমার তখন সেই অবস্থা। সন্ন্যাসী বললেন আমার এই দেহের বর্তমান বয়স ১৫০ বছর অতিক্রান্ত। তোমায় দেখে আমি বুঝেছি কিছু। তোমাকে আমার প্রয়োজন আছে। সময় আসলে তা তোমাকে বলবো।

 

এবার তোমার পরের প্রশ্ন তোমার ঘরে আমি ঢুকলাম কি করে? তুমি কি আকাশগামিনী বিদ্যার নাম শুনেছ? আমার ধারণা শুনেছ। তোমার গুরু এব্যাপারে তোমায় বিস্তারিত বলেছিলেন। এমনকি যক্ষদের এই বিদ্যা জানা, রাবণ কিভাবে এই বিদ্যা প্রয়োগ করতেন এসবই জানো। এই জানো যে মেঘনাদ এই বিদ্যার প্রয়োগে কিভাবে দৃষ্টির অন্তরালে আকাশে চলে যেতেন। যাকে তোমরা beyond visual  range বোলো।  কাশীর বিখ্যাত গৃহী যোগী অরুন শর্মাজীর সাথে কথোপকথনে জেনেছো সেই আট বছর বয়সে।  আমার যে তখন কি করুন অবস্থা কি বলবো। আমি কাকে কোথায় কবে দেখা করেছি ইনি তো সব জানেন। শুকনো মুখে বললাম হ্যাঁ উনি বলেছেন। তুমি তো সিদ্ধ যোগী রাসায়ণাচার্য্য নাগার্জুনার কথাও জানো। আর এও জানো উনি উত্তর হিমালয়, তিব্বত, অরুণাচল এবং শ্রীশৈলে আসেন। এ এক গুপ্ত বিদ্যা। তুমি বামাচরণ-এর ব্যাপারে সবই জানো, তাহলে ভুলে গেলে হবে।  মনে পড়লো পারদ গুটিকার কথা। পারদ গুটিকা এর মূল। পারদ শোধন পদ্ধতি তোমার গুরু অবধূত তোমায় শিখিয়েছেন। তার থেকে কিভাবে পারদ শিবলিঙ্গ করা যায় তাও শিখিয়েছেন। পারদ শোধন পদ্ধতিও জেনেছো। একবার করেছো। কিন্তু সে আবার খানিকটা ভুলেও গেছো। উপযুক্ত সময় আসলে আবার তুমি পাবে ওই বিদ্যা।  তোমাদের বাংলার মহান যোগী বিশুদ্ধানন্দজী আকাশগামিনী বিদ্যায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তবে উনি রসায়ন পথে এই বিদ্যার প্রয়োগ করেন নি। ওনার যোগমার্গে। যাকে কোটি কুম্ভক বলে।


কোটি কুম্ভক কি মহারাজ ? জিজ্ঞেস করলাম। বললেন আমি জানি না কেমন করে করে। আমি ওই স্তরে পৌঁছায়নি। বললেন আমাদের বিজ্ঞান ক্রমে ধর্মের আধারে চলে গেছে। আর তাকে গোপন করার জন্য ও ধর্ম আবার রূপকও দেওয়া হয়েছে। তোমাদের বর্তমান বিজ্ঞান এক্সপেরিমেন্ট এবং রেজাল্টের ওপর বিশ্বাস করে আর কেন খোঁজে। সেভাবেই আমাদের প্রাচীন বিজ্ঞান এগিয়েছে। শেষ প্রশ্ন টা ছিল আমি কে? Who am I? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একে একে এসেছে নানা প্রাকৃতিক সমস্যার সমাধানের প্ৰশ্ন ও উত্তর। প্রসেস তৈরী হয়েছে কিভাবে তাকে অতিক্রম করা হবে। এবং সেটা যোগ মার্গ দিয়ে না তন্ত্র দিয়ে।

 

মানুষ আজীবন উড়তে চেয়েছে। এ তার কাছে এক পরম পাওয়া। আর তার জন্য সে সময়ে সময়ে করেছে নানা যান। প্রাচীন ভারত এব্যাপারে অনেক এগিয়ে। আকাশগামিনী বিদ্যা বললে ধর্ম হয়, ফ্লাইট টেকনোলজি বললে বিজ্ঞান হয়ে যায়।

 

প্রাচীন ভারত অনেক আগে বুঝেছিলো আমাদের দেহ একটি অসাধারণ যন্ত্র বা machine আর তারা এও জানতে পেরেছিলো কেমন করে এই মেশিনের শুধু ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বাহ্যিক ব্যবহার নয় এর অভ্যন্তরীণ ব্যবহার সম্ভব। হিমশৈল যেমন জলে ডুবে থাকলে খুব সামান্য দেখা যায় ঠিক তেমন ই মানুষের আসল ক্ষমতার খুব সামান্য সাধারণ ভাবে ১০% বা তার কম তার বাহ্যিক ক্ষমতার প্রকাশ হয়। কিন্তু তার অভন্তরীন ক্ষমতার জাগরণের এবং তাকে এই ব্রহ্মান্ডের সমগ্র শক্তির সাথে যুক্ত করে নেওয়ার যে পদ্ধতি তাকে গুরু পরম্পরায় রেখে দেওয়া হয়েছে। ইনফরমেশন - প্র্যাক্টিস - স্কিল - এক্সপেরিয়েন্স = নলেজ এই ভাবে এগোনো হয় আমাদের এই প্রাচীন বিজ্ঞানে। এই প্র্যাক্টিস ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট অংশ টি সাধনা।

 

আমাদের দেশে বিশেষত সাধারণ মানসিকতায় যে জিনিসটি ক্রমাগত ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৬০০ খ্রিস্টাব্দ এর কিছু আগে থেকে যে এদেশে যা আছে বা ছিল তা কোনো বিজ্ঞান নয়। সেটা ধর্ম আর ভণ্ডামি। পাশ্চাত্য বিজ্ঞানই একমাত্র বিজ্ঞান। এদেশে যা আছে তা কল্পনা। ক্রমাগত বহিরাগত আক্রমণে তখন এই বিজ্ঞান চর্চা এমনিতেই হ্রাস পেয়েছে, তার সঙ্গে কিছু স্বার্থপর লোভী মানুষ এই ক্ষমতা কে ঘিরে অতি সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার নামিয়ে এনে নিজেকে ক্ষমতার শীর্ষে রাখার জন্য ধর্মকে আশ্রয় করে ফেলেছে। এই দুয়ের কারণে তা দ্রুত শেষ হয়েছে।

 

আজ দেখবে আমাদের পুরোনো পুঁথির কপি আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুবাদ এর পরে বর্তমান বিজ্ঞান কে দিয়ে আবার re-establish করার চেষ্টা চলছে। তবে তোমায় জানিয়ে রাখি দেরিতে হলেও এখন কিছুকিছু কাজ শুরু হয়েছে আমাদের দেশে। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট রসায়ানাচার্য্য নাগার্জুনার ওপর কাজ শুরু করেছে। পারলে দেখে এস সময় করে। ওখানের ল্যাবরেটরিতে পারদ গুটিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে অনেক দিন। IIT গুলোও শুরু করেছে। কিছু কিছু বিষয়ে। সবচেয়ে বড়ো সমস্যা সাধারণ ভাবে প্রাচীন সংস্কৃততে বলা কোনো একটি বস্তুকে এখন আজকের ভাষায় কি বলে সেটাই তো সঠিক জানা নেই। আর এগুলো সনাতন ধর্ম গুহ্য বিদ্যায় রূপান্তরিত করে দিয়েছে। আর এগুলো গুহ্যতত্ব হিসাবে থাকবে যতদিন না human consciousness সঠিক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। এর মধ্যে আরও একটি সমস্যা ব্যাকরণগত। আমাদের পুঁথিতে বলা আছে পারদ হলো শিবের বীর্য্য আর অভ্র হলো আদিশক্তির রেত। এই দুটির ব্যাপারে পরে বলবো। তোমার এই দুয়ের ব্যাপারে আগ্রহ আছে আমি জানি তাই তোমাকে জানানো। বহুদিন ধরে তুমি এই খোঁজে আছো।


জিজ্ঞেস করলাম আপনি কি আত্মজ্ঞান পেয়েছেন। বললেন না। এখনো পাইনি। আমার কাজ এখনো বাকি আছে। তাহলে এতো যোগবিভূতি পেলেন কিভাবে? সাধন ও গুরুকৃপা যোগীকে যোগ বিভূতি দেয়। তা তার চলার জন্য। ভুল ব্যবহার করলে গুরু তা তুলেও নেয়।

 

আমায় জিজ্ঞেস করলেন এবার আমি তোমায় কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করবো।

 

আগে বলো চারটি fundamental force বা মৌলিক বল কি কি? বললাম Gravitational Force, Electromagnetic Force, Strong Force আর Weak Force. মাথা নেড়ে বললেন ঠিক আছে। যখন তুমি সাধনা করো এগুলো তোমার ওপর act করে। এইভাবে কখনো বোঝার চেষ্টা করেছো? হ্যাঁ করেছি বললাম। বললেন তাহলে গ্রাভিটি কি? বললাম গুরুতত্ত্ব।

 

গুরু তোমার কাছে কিরূপ? বললাম আমার গুরু অনুভব এই রকম - সিদ্ধ গুরু হলেন রাজজেশ্বরী মা ললিতা অম্বিকা ত্রিপুর সুন্দরীর দৈহিক রূপ। যখন "ত্রিকোণ ছেদন, বিন্দু ভেদন" সম্পন্ন হবে তখন বোঝা সম্ভব গুরু হলেন মা ললিতা অম্বিকা পরাভট্টারিকা। বিন্দুর মধ্যে অর্থাৎ বিন্দু মধ্যন্তর সেখানে গুরু অবস্থান করছেন। গুরু পরাৎপর শিবের সম্পূর্ণ রূপ এবং মা ললিতা অম্বিকার নিখুঁত 'যুগলবন্দী' যা "অদ্বৈত" - দুই নয়।

 

"অদ্বৈত" একটি অসাধারণ শব্দ যা প্রকাশ করে যে দ্বৈত নয়, অর্থাৎ দুই নয় আবার এক ও বলা হলো না। সেই এক যার দুটি প্রকাশ বা দুটি অভিব্যক্তি আছে কিন্তু একই সময়ে। যেমন "মৈথুন" এমন এক অবস্থা যখন দুই এক হয়ে ওঠে। মনে পড়ে গেলো গুয়াহাটি গামী ফ্লাইট-এর কথা। একসময় কলকাতা থেকে গুয়াহাটি যেতে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান সংখ্যা ছিল IC ২২৯। কলকাতা এয়ারপোর্টে বসে গুয়াহাটি যাবো, তখন বিমান ছাড়তে ৫০মিনিট দেরী হবার জন্য এনাউন্সমেন্ট হচ্ছিলো সেখানে বলা হচ্ছিলো উড়ান সংখ্যা আই সি দুই তারপর একটু থেমে দুই নয়। তখনই নতুন এক দিগন্ত খুলে গেছিলো। 

 

কিন্তু গুরু কেবলই এই অবস্থা নয়, গুরু হলেন এরও পরাবস্থা। এটিই শুরু মাত্র, যাকে আমরা ইংরাজিতে বলে "Entry Gate" যেখান থেকে যাত্রা শুরু হবে গুরু সম্পর্কে জানতে, কিন্তু শেষ নয়। এতো আধ্যাত্মিক অনুভব বললে। গ্রাভিটি দিয়ে একে ব্যাখ্যা করতে পারবে? বললাম না। সাধনা করে সেই জায়গায় পৌঁছাবার চেষ্টা করো। যেমন গুরু তোমায় বিভিন্ন ফোর্স এবং তার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল তার ওপর সাধনা করিয়েছেন। সাধনা করিয়েছেন স্পেস-টাইম কন্টিনিউম এর ওপর। অবাক বিস্ময়ে বললাম হ্যাঁ।

 

কাল তোমার যে অসম্ভব কম্পন অনুভব হয়েছিল তার মূলকারন যে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফোর্স তুমি শুরুতে align করতে চেয়েছিলে কিন্তু অনুভূতি না পাবার ক্রোধ তোমার মনের মধ্যে উপস্থিত হওয়ায় তুমি ঠিক মতো align করতে পারলে না। ইন্টারফারেন্স তৈরী হলো। ফলস্বরূপ তোমার ভেতর অসম্ভব রকমের কম্পন শুরু হয়ে গেলো। কারণ তুমি জানো না এমত পরিস্থিতিতে কি করণীয়। কি করে আবার re-align করবে বা damping করবে। যাই হোক গুরুকে স্মরণ করায় তুমি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাও। তাই কাল তোমার যে অনুভূতি হয়নি তা করাবার জন্য আজ ভোরে তোমায় উঠিয়ে আনা। নিশ্চই পেয়েছো সেই অনুভূতি। বললাম হ্যাঁ।

 

স্ট্রং ফোর্স ও উইক ফোর্সের কথা পরে বলবো। আজ আপাতত এই অবধি। তুমি এখন যাও। তোমার গুরু তোমাকে শিখিয়েছেন কেমন করে নিতে হবে এখানকার জ্যোতির্লিঙ্গের এনার্জি ফ্লো। তার সিক্রেট কোড তুমি জানো। লক ও আনলক করার পুরো প্রসেস তোমার জানা আছে। আজ বিকালের মধ্যে কাছের সব জায়গা ঘুরে নিও। সন্ধ্যে বেলায় মন্দিরে এস। আজ মহাষ্টমী। সন্ধ্যায় সন্ধিপুজো আছে। আমি থাকবো সাধনা করো। এই মন্দিরের ইতিহাস তোমাকে জানিয়ে দেব। এখানে বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান অনেক গুলি আছে তার মধ্যে ফলধারা - পঞ্চধারা অবশ্যই দেখবে। সম্ভব হলে ওখানে সাধনা করো। আদি শঙ্করাচার্য ওখানে বহুদিন সাধনা করেছেন। এখানেই উনি লেখেন শিবানন্দ লহরী। 






Comments


Share this Page

Subscribe

Get weekly updates on the latest blogs via newsletters right in your mailbox.

Thanks for submitting!

bottom of page